ডোমারে সমবায় সমিতির সভাপতি মামুন হাসানকে কারাগারে প্রেরন।
Published on Friday, February 19, 2021 at 12:40 pm
রবিউল হক রতন, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডোমার বাজার ভোগ্যপন্য সমবায় সমিতির ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মূল হোতা মামুন হাসান মালিককে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১৩।
গত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ঢাকার সাভারে তার নিকট আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১৩ নীলফামারী কার্যালয়ের অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মেজর আব্দুলাহ আল মঈন হাসান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। ঐদিন বিকালে মালিককে ডোমার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১৩। শুক্রবার দুপুরে ডোমার থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করে।
জানাযায়, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে মামুন হাসান মালিক নীলফামারী জেলার ডোমার থানার সাহাপাড়া এলাকার প্রাক্তন কুইন্স কিন্ডার গার্ডেন স্কুল ঘরটি ভাড়া নেয়। সমবায় সমিতি আইন ২০০১ (সংশোধিত ২০০২ও ২০১৩) এর ১৮(২)(ক)ও ১৮(৩) ধারায় অর্পিত ক্ষমতা বলে“ডোমার বাজার ভোগ্যপণ্য সমবায় সমিতি লিঃ” স্বারক নং ১২৭৪-১(২) সভাপতি মামুন হাসান মালিক, সহ-সভাপতি নাজমা বেগম ও জহুরা বেগমকে সাধারন সম্পাদক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি অনুমোদন দেয় নীলফামারী জেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুস সবুর।
ডোমার বাজার ভোগ্যপণ্য সমবায় সমিতির কর্মী বানিয়ে বিভিন্ন লোভনীয় প্রস্তাবে হাজারো নারীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় সমিতির কর্মকর্তারা। এরমধ্যে গত ১২ ডিসেম্বর ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে সমিতির সহ-সভাপতি নাজমা বেগম ও ট্রেইনার পালিয়ে যায়। সমিতির সভাপতি মামুন হাসান মালিক ও পরিচালক মামুন রহমান নিজেরাই থানায় গিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন। এসময় হাজারো নারী কর্মি ও ভুক্তভূগীরা ডোমার থানায় উপস্থিত হয়ে টাকা ফেরতের দাবি জানায়। সবার টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১ কোটি টাকার চেক ও নগদ ৬ লক্ষ টাকা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা নুরুজ্জামান খানের নিকট জমা দেন এবং থানায় মুচলেকা দিয়ে মুক্ত হন সমিতির সভাপতি ও পরিচালক। এরই ধারাবাহিতায় পরদিন সকাল থেকে টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়।এবং ঐদিনেই রাত ৯ টার দিকে কিছু দূস্কৃতীকারীরা অসুস্থতার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে সমিতির সভাপতি ও পরিচালককে তুলে নিয়ে গিয়ে ভাগিয়ে দেয়।
টাকা দিয়ে সর্বশান্ত হওয়া কয়েকশত নারী গত ২০ ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এছাড়াও নীলফামারী জেলার ডোমার থানায় গত ২৪ জানুয়ারি ২০২১ চারজন প্রতারকের নামে প্রতারনার মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ৪ এবং একই সাথে র্যাব ১৩ সিপিসি টু নীলফামারী কোম্পানী কমান্ডার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, টাকা আতœসাতের ব্যাপারে মামুন হাসান মালিক ও মামুন রহমানের পাশাপাশি সমিতির অপর চার সদস্যের নাম এখনো পর্দার অন্তরালে রয়েছে। তারা যা কিছুই করেছে সমিতির কার্যকরী ৬ সদস্য মিলেই করেছে তাদের নাম সামনে আসেনা কেন।
ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১৩ মামুন হাসান মালিককে থানায় হস্তান্তর করেন। শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
Leave a Reply